মানুষ এত বছর পরেও পাথর হতে পারলো না, পারলো না গাছের মত
ক্রমবর্ধমান সময়ের সমস্ত তাপ উত্তাপ সহ্য করে সমাজের নির্বাক নাগরিক হতে ।
পারলো না জানালা কমিয়ে শুধু শক্ত দেওয়াল দিয়েই তার মনের ঘর বানাতে,অনুভুতির
রোদ হাওয়া বৃষ্টির থেকে বাঁচিয়ে নিয়মের নিওন লাইটে নিজের বোধ কে আলোকিত করতে ।
এতোগুলো না পারার এক কথায় প্রকাশ - কবিতা ।
জানলার আকার আকৃতির মতই কবিতাও বদলায় । সাবেকি সেগুন কাঠের জানলা থেকে আজকের
হাল ফ্যাশনের কাঁচের জানলা । আজ জীবন বহুমুখি, বহু সমুদ্রের এপাড় ওপাড় নিয়ে
বাঁধা । কর্পোরেট ককটেল । তাই তার স্বাদ আলাদা, তেমনই বিস্বাদ, সেই বা অন্য
রকম হবে না কেন।
আঘাত না পেয়ে ঝাঁপাতে , যেমন অতল বালি অথবা জল লাগে,তেমনি বেনিয়ম গ্রুন্থটি
নিশ্চিন্তে অনিশ্চয়তার দিকে লাফানোর এক আমন্ত্রন, পাঠক কে পৌঁছে দেবার থেকে
হারিয়ে দেওয়াই প্রধান উদ্দেশ্য ।
সম্পূর্ণ অপরিচিত চা-পাতা,চিনি আর দুধের আলাপেই যেমন সকালের পরিতৃপ্তি লুকিয়ে
থাকে, তেমন জীবনের ভাললাগা, পাওয়া না পাওয়ার মেলবন্ধনেই রয়েছে কবিতার সার্থকতা
। বেনিয়ম গ্রন্থে এক কাপ চায়ের মিশেল আছে নিশ্চিত কিন্তু চুমুকের যোগ্যতা আছে
কিনা সে পাঠক পান করেই বলতে পারবেন ।